আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন তালিবানরা। এর আগে আফগানিস্তান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থেই আফগান সরকারের এই পদক্ষেপ বলে সংশ্লিষ্ট মহল মত দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের কাউন্সিল চেয়ারম্যান কামরান আলিজাই জানান, নিঃশর্ত আলোচনা চাইছে সরকার। তবে তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বরাবর কর্মসংস্থানের দাবিতে অনড়। ফলে আলোচনার ফল সম্পর্কে সন্দিহান প্রেসিডেন্ট ঘানি। তবে তালিবানরা আলোচনায় রাজি হয়েছে, এতেই আশার আলো দেখছে সরকার বলে জানান আলিজাই।
তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ভারত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে তালিবানদের কর্মসংস্থানের দাবি নতুন নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকেই এই দাবি সামনে রেখেছে তারা। তাদের দাবি আলোচনা বাস্তবায়িত হবে তাদের এই দাবি পূরণ হলে। প্রকল্পের সুরক্ষার দায়িত্বও তারা নিতে রাজি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে তালিবানদের পক্ষ থেকে।
তবে তালিবানদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন হেরাত গর্ভনর মোহাম্মদ আসিফ রাহিমি। তার মতে যদি শান্তি আলোচনায় অংশ নেয় তালিবান, তবে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি ভাবা উচিত সরকারের।
রাহিমি আরও জানান, দরজা খোলা রয়েছে, সরকারি বিরোধী প্রতিটি গোষ্ঠীকে আলোচনার রাস্তায় আসার সুযোগ দিতে চায় সরকার।
এর আগে, জঙ্গি কার্যকলাপ ছেড়ে সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে চেয়েছিল একাধিক তালিবান নেতা। ১৬ বছর ধরে আফগানিস্থানের বুকে যে জঙ্গি কার্যকলাপ তারা চালিয়েছে সেটা থেকে সরে আসতে চেয়েছিল তারা। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে সুর নরম করে আফগান সরকারও।
এবার তাই নতুন উদ্যমে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে আফগান সরকার। সে কারণে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্রে জানা গেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘানি তালিবানদের রাজনৈতিক দলের মর্যাদা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। কারণ এতদিন তালিবানদের জঙ্গি বলে আলোচনায় বসার প্রস্তাব বারে বারে খারিজ করে দিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট নিজেই।
বিডি প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম