তার মৃত্যুর পরে কেটে গেছে সাত বছর। কিন্তু এখনও ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের মনে। এখনও তার নিকটজনদের ঘিরে রাখে সংবাদমাধ্যম। যার ফলে মাঝেমধ্যেই লাদেন সম্পর্কে উঠে আসে নিত্যনতুন তথ্য।
ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওসামা বিন লাদেনের মা আলিয়া বলেন, "সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়ার সময় কট্টর ধর্মীয় মৌলবাদীদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে লাদেন। আমি বারবার তাকে বলতাম মৌলবাদীদের থেকে দূরে থাকার জন্য। কিন্তু যতই বারণ করা হতো, ততই সে তার গতিবিধি সম্পর্কে গোপনীয়তা বাড়াতে শুরু করে।"
তিনি আরও বলেন, "লাদেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু পড়াশুনোর বদলে সে ধর্মচর্চায় মেতে উঠেছিল। সে ভাল ছেলে ছিল, মৌলবাদীরা তার সঙ্গে গোটা দুনিয়ার সর্বনাশ করল। আশির দশকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আফগানিস্তানে চলে যায় লাদেন। সেই লড়াইকে সৌদি সরকার বিশেষ সম্মানের চোখে দেখত। সৌদি সরকারও লাদেনকে সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখতো। তারপরই লাদেন হয়ে উঠলো সন্ত্রাসবাদী।"
লাদেন যে সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠতে পারে, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি আলিয়া। তিনি বলেছেন, "আমার ছেলে ধর্মের অজুহাতে মানুষ মারবে, এটা স্বপ্নের অতীত। যখন জানতে পারি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম।"
বিন লাদেন'র পরিবার বলছে, তারা ওসামাকে সর্বশেষ দেখেছিলেন ১৯৯৯ সালে, আফগানিস্তানে। কান্দাহার শহরের বাইরে তাদের ঘাঁটিতে দুইবার তারা দেখা করতে গিয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর