লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর দেশটির বিদ্রোহীদের হাতে আটক এবং পরে নিহত হন। লিবিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছিল দেশটির সির্তে শহরে। এটি এক সময় ছিলো সাজানো গোছানো ছবির মতো একটি শহর। আর এখন শহরের যেদিকেই চোখ যায় শুধু যত্রতত্র ধ্বংসস্তূপ চোখে পড়ে। শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িই হয় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, না হলে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব স্থাপনার প্রায় একই অবস্থা। এক সময়ের রমরমা এই শহরটিতে এখনো শুধুই সংকট আর ধ্বংসের চিহ্ন।
যুদ্ধের ডামাডোল শেষে এখন শহরের অধিবাসীরা যার যার বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। যদিও শহরটি পুনর্গঠনে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা খুব কম বলে মনে করছেন তারা। অথচ দু'বছর আগেই এ শহর থেকে উৎখাত হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস, তারপরেও শহরটি এখনো একটি ভূতুড়ে শহর হয়েই আছে।
অধিবাসীরা বলছে, শহরটিকে এ অবস্থায় দেখার জন্য আমরা ফিরে আসিনি। অনেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিজের বাড়ির অবস্থা দেখে হার্ট অ্যাটাকে একজন মারা গেছেন বলেও জানান এক অধিবাসী।
অধিবাসীরা বলছেন, শহরটির পুনর্গঠনের কোন উদ্যোগই তাদের চোখে পড়ছে না। তাদের অনেকের ক্ষোভ, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধেই। কারণ তারা মনে করে পশ্চিমারা যুদ্ধের সময় শহরটিকে ধ্বংস করেছে কিন্তু এখন অধিবাসীদের কোনো সহায়তাই করছে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি-প্রতিদিন/০৬ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব