গণহত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে রোহিঙ্গাদের উৎখাতের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর মিয়ানমারের মনে হচ্ছে রাখাইনের পরিস্থিতি হয়তো আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে এমন মত প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার চাপের মুখে পড়া দেশটির স্টেট কাউন্সিল সু চি বলেন, “এখন ভাবলে মনে হয়, অবশ্য কিছু উপায় ছিল যার মাধ্যমে পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত।''
তবে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের খবর প্রকাশ করায় আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দুই প্রতিবেদকের কারাদণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন শান্তিতে এই নোবেলজয়ী। মিয়ানমানের গণতান্ত্রিক নেত্রীর দাবি, তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণই করা হয়েছে। তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি, কারণ তারা সাংবাদিক। তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, কারণ ... আদালত মনে করেছেন, তারা দেশের গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে গত বছর ২৫ অগাস্ট থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে গত এক বছরে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।
এরই মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর নতুন করে চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার। এরপরই আবারও সুর নরম করা শুরু হয়েছে দেশটির।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮/মাহবুব