পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে ছয় বছরের শিশু জয়নাব আনসারি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান আলির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার লাহোরের কোট লাখপাট কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর- ডন নিউজ'র।
ওই সংবাদ মাধ্যম জানায়, ইমরান আলির ফাঁসি কার্যকরের সময় জয়নবের বাবা ও চাচা উপস্থিত ছিলেন। জয়নবের বাবা আমিন আনসারি বলেন, ‘হত্যাকারীকে আজ তার কর্মফল ভোগ করতে হলো।’
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পাঞ্জাবের কাসুরের শিশু জয়নব আনসারি নিখোঁজ হয়। কয়েকদিন পর শহরের একটি আবর্জনার স্তুপে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এক বছরের মধ্যে ১২তম শিশু হিসেবে ধর্ষণের শিকার হওয়া জয়নবের মৃত্যুতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে যায় সারা শহরে। ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ দাবিতে ১০ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ। ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জয়নাব’ লিখে প্রতিক্রিয়া জানান জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট তারকারাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ।
পরে ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা যায়, জয়নবের শরীরে পাওয়া সন্দেহভাজন অপরাধীর ডিএনএ নমুনাটি আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া সাতটি শিশুর শরীরেও পাওয়া গিয়েছিল। পরে ইমরান আলীকে অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হলে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে শুরু হয় তার বিচার।
ফরেনসিক রিপোর্ট ও পলিগ্রাফিক পরীক্ষায় অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তাকে শিশু হত্যা, শিশু অপহরণ, শিশু ধর্ষণ এবং শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের চোখে তাঁর ভয়ংকর পরিণতি দেখেছি। তাকে ফাঁসি কাষ্ঠে নেয়া হয়। এক ঘণ্টা ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
আমিন আনসারি এর আগে জনসম্মুখে এই ফাঁসি কার্যকরের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে লাহোর হাইকোর্টে তা নাকচ হয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম