চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান অবশ্যই চীনের অংশ হিসেবে থাকবে এবং দেশটিকে তা মেনে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সব ধরনের বলপ্রয়োগ করার অধিকারও রাখে চীন।
বুধবার তাইওয়ান নীতির ৪০ বছর পূর্তিতে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দেওয়া এক ভাষণে নতুন করে এ কথাগুলো বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
তাইওয়ানের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীনতা তাদের জন্য শুধুমাত্র দুঃখ দুর্দশাই বাড়াবে। স্বাধীনতা উসকে দেওয়া কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। তাইওয়ান স্বশাসনে চললেও তাদেরকে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’র ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ পন্থায় এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শি জিনপিং আরও বলেন, চীন-তাইওয়ান একত্রীকরণ চীনের নব-জীবনের জন্য অপরিহার্য। তাইওয়ান চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়। এক্ষেত্রে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত।
এমন ঘোষণার একদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছিলেন, তাইওয়ানের অস্তিত্ব চীনের মেনে নেওয়া উচিত এবং ভিন্নতার মীমাংসা শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। চীনের সঙ্গে পুনরায় একত্রীকরণের বিষয়ে বেইজিং যে প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান তা কখনো মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের বিতর্ক বেশ পুরনো। ২০০৪ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট চেন শুই বিয়ান ঘোষণা করেন, তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। এই ঘোষণা চীনকে ক্ষুব্ধ করে।
পরে ২০০৫ সালে চীন তড়িঘড়ি করে এক আইন পাশ করে। যাতে বলা হয়, তাইওয়ান যদি চীন থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে, সেটা ঠেকাতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে চীন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন