১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০৮:৪০

জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে ট্রাম্পকে ফোন করেন ইমরান

অনলাইন ডেস্ক

জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে ট্রাম্পকে ফোন করেন ইমরান

কাশ্মীর নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বারবার কথা বলছে পাকিস্তান। যদিও চীন, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক বাদে কেউই তেমন ভাবে সাড়া দেয়নি। এবার সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করে বসলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইমরান। জাতিসংঘে বৈঠকের আগে অন্তত ২০ মিনিট কথা বলেছেন তারা। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় জরুরি বৈঠক বসে।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন দিয়ে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং বিশেষত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দু’জন মত বিনিময় করেন। ট্রাম্প ও ইমরান খান আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেন। জুলাইয়েও ইমরান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, কাশ্মীর সংকটে মধ্যস্থতা করতে তিনি আগ্রহী। তার পরপরই ভারত কাশ্মীর থেকে স্পেশাল স্টেটাস বা বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়। এদিন গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে ভারত। 

এদিকে, জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেছেন, কাশ্মীর আমাদের অন্তর্বর্তী বিষয়। এর আগে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চেয়ে ৬ অগাস্ট চিঠি দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেসি। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায় তাদের বন্ধু রাষ্ট্র চীন। চীনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়েছিল বৈঠক। প্রায় ৭৩ মিনিট ধরে চলে আলোচনা। ওই বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এদিন পরমবন্ধু বেজিং ছাড়া বাকি চার স্থায়ী সদস্যের মধ্যে কাউকেই পাশে পায়নি পাকিস্তান।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। তারা মনে করে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় কাশ্মীর।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিনস্কি বলেন,ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের স্থিতাবস্থার পক্ষে রাশিয়া। ১৯৭২ সিমলা চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমরা ভারত-পাকিস্তানের বন্ধু। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য নেই। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সুসম্পর্কের পক্ষে আমরা সওয়াল করব। খবর কলকাতা 24x7 এর।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর