দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। দুই দেশে আটক থাকা প্রায় ৭০ জন বন্দি শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে এবং ইউক্রেনের কিয়েভ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে উভয় দেশ এই বন্দি বিনিময় করে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া যাদের ছেড়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্য ও চলচ্চিত্রকার আছেন। অন্যদিকে, ইউক্রেইন যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে যেমন আছেন সাংবাদিক এবং একজন ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ভলোদিমির জেমাখ, যাকে ২০১৪ সালে একটি মালয়েশীয় যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার জন্য দায়ী করা হয়।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির ইয়েলেনস্কি বলেছেন, মুক্তির আগে জেমাখকে নিবিড়ভাবে জেরা করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভলোদিমির জেমাখ পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের একজন কমান্ডার। ২০১৪ সালের ঘটনার ব্যাপারে তার সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা কথা বলতে চান।
বিবিসির এক সংবাদদাতা বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে এই বন্দি বিনিময়। কারণ ২০১৪ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলছে। বিশেষ করে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু হয়, তারপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট ইয়েলেনস্কির ধারণা, এই বন্দি বিনিময় পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। এপ্রিলে নির্বাচিত হয়েই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম