পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে ব্মিানে করে নিউ ইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদে ফিরছিলেন তা ছিল সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত বিমান। সৌদি যুবরাজের ব্যক্তিগত বিমানটি নেওয়ায় পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো এরইমধ্যে ইমরানের সমালোচনা করেছেন। বিরোধী নেতারা বলেছেন, আরাম-আয়েশে সফর করতেই তিনি সৌদি যুবরাজের বিমানটি নিয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই বিমানটি ইমরান খানের জন্য ভোগান্তিই সৃষ্টি করেছে। গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ার পর বিমানটি আবার নিউইয়র্কে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগদান এবং আমেরিকায় সফল সফরের পর ইমরান খান দেশে ফেরার জন্য নিউ ইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু তাকে বহনকারী বিমানটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। বিমানটি পাঁচ ঘন্টা আকাশে উড়ার পর যখন কানাডার টরেন্টো শহরের কাছাকাছি ছিল তখন তাতে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর বিমানটি আবারও নিউ ইয়র্কে ফিরে যায়।
এরপর পাক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারি নাসিমুল হক জানান, নিউইয়র্কে ইমরান খান আরো একটি রাত কাটাবেন। ইসলামাবাদে পৌঁছে ইমরানের আজাদ কাশ্মীরের ভূমিকম্প কবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু তাতেও বিঘ্ন ঘটেছে বিমানে ত্রুটি দেখা দেওয়ায়।
গত সপ্তাহে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে সৌদি আরব সফরে যান ইমরান খান। এরপর সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে তার ব্যক্তিগত বিমানটি দেন এবং ওই বিমানে করে আমেরিকা সফর করতে বলেন। এরপর ওই বিমানে করেই তিনি সফর করেন। কিন্তু ফেরার পথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তিনি ভোগান্তিতে পড়েন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান পাকিস্তানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রথা ভেঙে নিজের ব্যক্তিগত বিমান ইমরান খানকে দিয়েছেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল মুসলীম লীগ নওয়াজের নেতা এহসান ইকবাল বলেছেন, যিনি ব্যয় সংকোচনের স্লোগান দিচ্ছেন তার উচিত ছিল কারো ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষের মতো নিয়মিত ফ্লাইটে করে আমেরিকা সফর করা উচিত। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক