২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৪৯

গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত লোকসভা

অনলাইন ডেস্ক

গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত লোকসভা

ফাইল ছবি

ভারতের লোকসভায় গান্ধী পরিবারের সদস্যদের ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা, এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। গত সোমবার অধিবেশনের সূচনার দিনই সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করে কংগ্রেস। লোকসভায় গতকাল মঙ্গলবারও এই ইস্যু তুলে সরব হন কংগ্রেসের নেতারা। 

সম্প্রতি মোদি সরকার সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে তারা সিআরপিএফ সেনাদের দেওয়া জেড প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা পাবেন বলে ঠিক হয়েছে। কিছুদিন আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহেরও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নিয়ে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। সভা বসতেই এই ইস্যুতে বলতে চেয়ে অনুমতি পাননি তারা। কংগ্রেস এমপিরা স্পিকার ওম বিড়লার আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ‘নিরাপত্তার নামে রাজনীতি বন্ধ করো’, ‘একনায়কতন্ত্রের অবসান হোক’, ‘প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন’, ‘আমরা ন্যয় বিচার চাই’ স্লোগান দেন। 

এসময় ডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সসহ অন্য বিরোধী দলগুলিও সরব হয়। কিন্তু স্পিকার সভার অধিবেশন চালিয়ে যান, ২০২২ নাগাদ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। বিরোধীরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে তিনি সভা চালাতে সহযোগিতার আবেদন করেন। এসময় তিনি বলেন, কৃষক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আপনারা আলোচনায় আগ্রহী নন, এটা ভাল নয়।

নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস এমপিরা বলেন, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সুরক্ষার অধিকারপ্রাপ্ত মামুলি, সাধারণ মাপের কেউ নন। প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী গান্ধী  পরিবারের সদস্যদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সুরক্ষা অনুমোদন করেছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দুবার এনডিএ কেন্দ্রে সরকার গড়েছে, কিন্তু তাদের এসপিজি নিরাপত্তা বলয় কখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। 

এদিকে, মোদি সরকারের দাবি, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের জীবনের ঝুঁকি, বিপদ কতটা, তা সমীক্ষা করে খতিয়ে দেখার পরই এসপিজি বলয় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাহুল গান্ধী দেশ-বিদেশ সফরে কখনই এসপিজি সুরক্ষার গাইডলাইন মেনে চলেন না, নিরাপত্তাবাহিনীকেও অন্ধকারে রাখেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ এর ২১ মে রাজীব গান্ধী প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার পর থেকেই গান্ধী  পরিবারকে এসপিজি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর