ঔপনিবেশিক শাসনের কালো দিনগুলির জন্য অনুতপ্ত ব্রিটেন। নির্বাচনী ইস্তাহারে সেকথাই তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। আগামী ১২ ডিসেম্বর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যাম সিটি ইউনিভার্সিটিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করলেন বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিন।
সেখানেই দেশের ঔপনিবেশিক অতীত বিশ্লেষণের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথাও।
এবছর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর পূর্ণ হল। চলতি বছরের শুরুতে যা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ‘‘ইট’স টাইম ফর রিয়েল চেঞ্জ’’ (এটা আসল পরিবর্তনের সময়) শীর্ষক ১০৭ পাতার এই ইস্তাহারে ক্ষমতায় এলে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতের কাছে সরকারিভাবে ক্ষমাপ্রার্থনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি।
এখানেই শেষ নয়। ইশতেহারে ‘এফেক্টিভ ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক অংশে অতীতের অন্যান্য অন্যায় নিয়ে একজন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গড়া, শিখবিরোধী হিংসার সময় ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এ ব্রিটেনের ভূমিকা নিয়েও প্রকাশ্যে পর্যালোচনার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালে ব্রিটেন সরকার কিছু নথি প্রকাশ্যে আনে। সেখানেই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রবেশের আগে ভারতীয় সেনাকে ব্রিটিশ সেনার পরামর্শ দেওয়ার কথা সামনে আসে। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে কয়েকটি ব্রিটিশ শিখ গোষ্ঠী।
এই একই বিভাগে কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে উপমহাদেশে এই ধরনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বগুলির সমাধান এবং উপদ্রুত অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর কথাও বলা হয়েছে। ২০১৭ সালের ইস্তাহারে এই প্রসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ মানবতার সঙ্কট দেখা দিয়েছে কাশ্মীর, ইয়েমেন এবং মায়ানমারে। এছাড়া ইরানের সঙ্গে সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলছে। যা নিয়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে পার্টি সম্মেলনে কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি জরুরি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছিল লেবার পার্টি।
সূত্র: বর্তমান
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা