২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের জন্য ছয় ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আমেরিকা। এসব যুদ্ধে বিভিন্ন দেশে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। অবশ্য, নিহতের এ সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকে মনে করেন- নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
নতুন একটি জরিপ ফলাফলে যুদ্ধ-ব্যয়ের এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ব্রাউন ইউনিভারসিটির ‘ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স’ এ জরিপ চালিয়েছে। বুধবার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে জরিপের সার সংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত কাজে বিশাল অংকের এ অর্থ ব্যয় করার কারণে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে কারণ এ ব্যয় টেকসই নয়। স্বচ্ছতা বাড়ানো ও যুদ্ধের অবসান ঘটালে মার্কিন জনগণের সেবা আরো বেশি দেয়া সম্ভব বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে কথিত সন্ত্রাসী হামলায় ৩,৫০০ ব্যক্তি নিহতের পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেন। এর পর ইরাকে অভিযান চালানো হয় এবং আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সে যুদ্ধ চলছে।
এদিকে, ৯/১১ পর থেকে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জুড়ে দেয়া অপপ্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। নিরীহ মুসলিমদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণ করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ভিক্টিমস দ্য টেররিজমের প্রধান সেন্ট মার্ক বলছে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ মুসলিম আক্রান্ত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক