সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই দুই দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত ইয়েমেনের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ ওঠার পর এ সিদ্ধান্ত নিল প্রিটোরিয়া। খবর মিডল ইস্ট আই ও রয়টার্সের।
দক্ষিণ আফ্রিকার সমরাস্ত্র কেনার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, দেশটির কাছ থেকে কেনা অস্ত্র তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
চারটি অজ্ঞাত সূত্র ও কিছু গোপন চিঠির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করা দেশগুলোকে তাদের অস্ত্র ভাণ্ডার পরিদর্শন করতে দেওয়ারও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার অস্ত্র পরিদর্শকরা ক্রেতা দেশগুলো সফরে গিয়ে চুক্তির শর্তগুলো ঠিকমতো পালন হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করেন।
কিন্তু সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এরকম চুক্তিতে সই করা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিদর্শকদের এসব দেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছিল না।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক এজরা জেলে বলেছেন, তার দেশ সমরাস্ত্র রফতানি করার সময় মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক সংঘাত, তৃতীয় পক্ষের হাতে অস্ত্র চলে যাওয়া, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে দারিদ্র পীড়িত ইয়েমেনের ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের অন্তত ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে ইয়েমেনের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইয়েমেনের কিছু মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে আবু ধাবি ও রিয়াদ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে, সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করা সমরাস্ত্র ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মিলিশিয়াদের কাছে হস্তান্তর করছে। একইমাসে সিএনএনের এক তদন্ত প্রতিবেদনে সৌদি আরবের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম