ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বিজেপি ও কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি-রাষ্ট্রীয় জনতা দল জোটের মধ্যে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। ঝাড়খণ্ডের ২৪টি জেলা সদরে চলছে গণনা। রাজ্যের ৮১ টি আসনের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ৪১টি। এখনো পর্যন্ত ফলাফলের যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, সেখানে তিন দলের জোট এগিয়ে রয়েছে ৩৯ আসনে (ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা-২৪, কংগ্রেস-১১, আরজেডি-৫) এবং বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৩১ আসনে।
অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এগিয়ে রয়েছে ৩ আসনে, রাজ্যটির আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির দল ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) এগিয়ে রয়েছে ৩ আসনে।
বিরোধীরা ক্ষমতায় আসলে সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা এবং রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কিন্তু রাজ্যের দুইটি বিধানসভা কেন্দ্রেই (দুমকা ও বারহাইট) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে রয়েছেন হেমন্ত।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে পাঁচ দফায় ভোটগ্রহণ হয় ঝাড়খন্ডে। মাওবাদীদের চোখ রাঙানির মধ্যেই ২০ ডিসেম্বর তা শেষ হয়।
বুথ ফেরত জরিপ ইতিমধ্যেই বিজেপির ভরাডুবির ইঙ্গিত মিলেছে। জরিপে বলা হয় দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই রঘুবর দাস'এর।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে দেশজুড়ে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত। শুধু বিরোধী নয়, বিজেপির শাসকদলগুলোও এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকছে না। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটের অনড় মনোভাবের কারণে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। হরিয়ানাতেও বিজেপি এককভাবে সরকার গড়তে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ডও যদি হাতছাড়া হয় তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দিল্লি ও বিহার বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবির বড় বিপদের মুখে পড়তে পড়ব বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা