মার্কিন হামলায় ইরাকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মার্কিন হামলায় নিহত হন সোলেইমানি।
এদিকে, ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে হামলাস্থলের বেশকিছু ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে। সেখানেই ছিলেন ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির আস্থাভাজন কাসেম সোলেইমানি।
দেখে নিন হামলাস্থলের ছবিগুলো-
কাসেম সোলেইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে আসছে বহুদিন ধরে। এর আগেও কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে খবর বের হয়েছিল।
১৯৫৭ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরের উপকণ্ঠে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর আইআরজিসি’তে যোগদান করেন।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে জেনারেল সোলেইমানি কেরমানের ৪১ ‘সারুল্লাহ’ ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ওই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি ইরানের পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ওই অভিযানে তিনি মাদক চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীদের হত্যা করার মাধ্যমে ইরানের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটান।
১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি তাকে আইআরজিসি’র কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। সে সময় ইরানের পূর্ব সীমান্তে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান যে হুমকি সৃষ্টি করেছিল তার অবসান ঘটাতে সক্ষম হন।
২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি কাসেম সোলেইমানি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
এ বাহিনী ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। যার মূলে ছিলেন সোলেই মানি। তাকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে চায়। দেশটির পদক্ষেপ কতটা কাজে আসে এখন তা দেখার বিষয়।
এদিকে, ইসরায়েল মনে করছে, সবচেয়ে চৌকস একজন সমরবিদকে এভাবে হারানোয় ইরান তার আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় ইসরায়েলকে টার্গেট করতে পারে। তারা আশঙ্কা করছে, ইরান কোনোভাবে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের পথ খুঁজতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন