ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।
তবে এর আগে, মার্কিন একজন জেনারেলের একটি চিঠিতে মার্কিন সৈনাদের ইরাক ছাড়ার কথা বলা হয়েছিল।
মার্ক এসপারের বক্তব্যের পর ওই চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “ইরাকি এমপিরা মার্কিনীদের ইরাক ছাড়ার আহ্বান জানানোর পর সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্যদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে।”
এই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর আমেরিকান সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া হুমকির মধ্যেই।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
ইরানিরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
চিঠিতে কী ছিল?
মনে হচ্ছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এইচ সিলি। তিনি ইরাকে মার্কিন ফোর্সের প্রধান।
চিঠিটি তিনি পাঠিয়েছেন ইরাকে জয়েন্ট ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল আমিরের কাছে।
এতে বলা হয়, “স্যার, ইরাকের সার্বভৌমত্ব এবং পার্লামেন্ট ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাহিনীর অবস্থান নতুন করে সাজানো হবে।”
চিঠিতে বলা হয়, ইরাকের বাইরে নিরাপদে যাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক বাড়ানোসহ কিছু পদক্ষেপ ‘ডার্কনেস আওয়ারে’ করা হবে।
এছাড়া বাগদাদে গ্রিন জোনে নতুন কোয়ালিশন ফোর্স আনা হচ্ছে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে তাও দূর করা হয় এই চিঠিতে।
কিভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে ?
মার্ক এসপার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, “ইরাক ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। চিঠির বিষয়ে আমি জানি না। এটি কোথা থেকে এল আমরা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।”
“কিন্তু ইরাক ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
পরে চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে বলেন চিঠিটি ছিল একটি ‘ভুল’। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম