চীনে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাসটিতে একদিনে নতুন করে আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে শনাক্তস্থল হুবেই প্রদেশেই এক হাজারের বেশি। ফলে এ ভাইরাসে চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭১১ জনে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান ছাড়তে শুরু করেছেন বিদেশি নাগরিকরা। ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরাও। তাদের একটি দ্বীপে আলাদা করে রাখার পরিকল্পনা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, চীনের উহান ও হুবেই প্রদেশের আশপাশের এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আনা হচ্ছে প্রায় ৬০০ নাগরিককে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের দুই সপ্তাহ ক্রিসমাস দ্বীপে আলাদা করে রাখা হবে।
এ দ্বীপটি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই হাজার কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে। কিন্তু দ্বীপটিতে রয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্র।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উহানে আটকা পড়ে থাকা অস্ট্রেলীয়রা দেশে ফেরত যেতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
কিন্তু নাগরিকদের ক্রিসমাস দ্বীপে রাখার অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরিকল্পনা অনেককেই ভাবনায় ফেলেছে। কারণ অস্ট্রেলিয়া থেকে দূরে ইন্দোনেশিয়ার কাছের ওই দ্বীপটি আটককেন্দ্র হিসাবেই কুখ্যাত। ২০০৩ সাল থেকেই সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আটক করে রেখে আসছে অস্ট্রেলিয়া। যার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘও।
এছাড়াও চীনের উহান শহর থেকে দুটি ফ্লাইটে ২১০ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে জাপান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন