আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে চুক্তিতে সই করতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
শনিবার দুপুরে দোহায় আমেরিকা এবং তালেবান গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বৈঠকে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অংশ নিতে ৩১ সদস্যের তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল আগেই কাতার পৌঁছেছেন।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, আমরা তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।
এই সমঝোতা সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান (শান্তি) চুক্তি নিয়ে সামনে আগানো যাবে বলে আশা করা যায়। আমরা ২৯ ফেব্রুয়ারি এ চুক্তি সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বৈঠকের আগে যেকোনো ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকতে তালেবান তার সব যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে তালেবান অভিযোগ করেছে যে বিদেশি জঙ্গিবিমানগুলো ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এখনো তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় টহল দিচ্ছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতির এ খুশির দিনে আজকে তালেবানের সব সদস্যকে যেকোনো ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমরা আশা করি দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা এবং শান্তি চুক্তি সই হওয়ার সময় আমেরিকা তার প্রতিশ্রুতির প্রতি অনড় থাকবে।
চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি দেশটিতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পালনের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে কাবুলকে অন্তর্ভুক্ত না করায় ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আফগান সরকার। তালেবান গোষ্ঠী আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না বলেই কাবুলকে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেনি আমেরিকা।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশটিতে চলমান দুই দশকের সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসন এবং তালেবান গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি আলোচনা চালিয়ে আসছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন