২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পরে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। তারপর কেটে গেছে ১৯ বছর। টানা যুদ্ধে দু’পক্ষেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল। এরপর গতকাল শনিবার শান্তিচুক্তি সই করেছে দু’পক্ষ। তবে চুক্তি ভঙ্গ করে তালেবানরা আবার যদি কোন অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমেরিকা কড়া জবাব দেবে। আফগানিস্তানে নিজেদের সেনা মোতায়েন করবে। শনিবার একথাই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এই ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও ন্যাটোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির শর্ত মেনে আজ রবিবার থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানান। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের তালিবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করে সবাই খুব ক্লান্ত। এর ফলে অনেকের যেমন প্রাণ গেছে তেমনি আহতও হয়েছেন প্রচুর মার্কিন সেনা সেনা। তাদের প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এতদিন ধরে মার্কিন সেনারা প্রচুর তালেবান জঙ্গিকে শেষ করেছে। তবে এখন শান্তির আবহাওয়ায় তা মনে রাখার দরকার নেই। বরং এখন মানুষকে তাদের ঘরে ফেরানোর পালা। এর জন্য খুব তাড়াতাড়ি তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনাতেও বসতে চাই আমি। তবে ফের যদিও কোনও বাজে ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা আবার ফিরে আসব।’
উল্লেখ্য, ৯/১১-এর হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আফগানিস্তানে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পর বিশ্বের মানচিত্রে সন্ত্রাসের নয়া সংজ্ঞা তৈরি করে তালেবানরা। যাদের একমাত্র শত্রু ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই জবাব দিতে আফগানিস্তানে সেনা অভিযানে যায় আমেরিকা। মার্কিন অভিযানের পর বদলে যায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। তবে দীর্ঘ ১৯ বছরের সংঘর্ষে মার্কিন কোষাগার থেকেও ৭৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এত খরচের জন্য বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক