ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সিএএ বিরোধীদের ওপর সহিংসতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সৌরদীপ সেনগুপ্ত নামে আসামের এক বাঙালি অধ্যাপক।
সৌরদীপ সেনগুপ্ত তার স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আমরা এক গণহত্যাকারীকে দুইবার নির্বাচিত করেছি।’ এর পরদিনই গ্রেফতার হন সৌরদীপ।
সৌরদীপ সেনগুপ্ত আসামের গুরুচরণ কলেজে পদার্থ্যবিদ্যা পড়ান।
এদিকে, সৌরদীপের এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গুরুচরণ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তার পক্ষে অনেকেই স্ট্যাটাস দিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হয়। এই গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়েছে আসামের কংগ্রেস ও সিপিএম পার্টি থেকেও।
সিপিএস নেতা ও পলিট ব্যুরোর সদস্য মুহাম্মাদ সেলিম এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘ভারতে এখন আর গণতন্ত্র নেই। মোদির বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই গ্রেফতার হতে হয়। বিজেপি রেসিয়াল ডেমোক্রেসির চর্চা শুরু করেছে।’
কংগ্রেসের সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য অধ্যাপক গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
শনিবার আসামের শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এ ঘটনায় আমি স্তম্ভিত, হতাশ। ওই অধ্যাপক কোনো অপরাধ করেননি। ফেসবুকে দিল্লির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করা তার অধিকার। ভারতের সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী আমাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। এটা যে কেউ করতে পারে।
শুক্রবার রাতে সৌরদীপ সেনগুপ্তকে তার শিলচরের ইটখোলা নামক স্থানের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন