যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে নিহত ৪৬ বছর বয়সী আফ্রোআমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোক ও সংহতি প্রকাশ করে অন্যান্য দেশের মত জার্মানিতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
দেশটির বড় শহর মিউনিখ, ফ্রাঙ্কফুর্টের পর বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গার গেটের সামনে আয়োজিত সমাবেশে হত্যার বিচারসহ সব ধরনের পুলিশি নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক বলেন, দেখুন আমি নিজেই একজন আমেরিকান। কিন্তু আজ আমরা বার্লিনে আমাদের দূতাবাসের সামনে মিলিত হয়েছি সাম্প্রতিক সময়ে আমার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবিদ্বেষ, পুলিশি নির্যাতন ও সহিংস আচরণের প্রতিবাদে।আয়োজকদের একজন প্রতিবাদের সুরে বলেন, আমরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বে চলমান বিক্ষোভের সাথে সংহতি প্রকাশ করতেই এই সমাবেশে অংশ নিয়েছি।
এদিকে স্থানীয় ও জন্মসুত্রে নাগরিকরাও চলমান সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এসময় এক নারী বলেন, পুলিশের দায়িত্ব সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করা, কিন্তু তারা যখন রক্ষার বদলে মানুষ হত্যা করে তখন রাষ্ট্রই তার জন্য দায়ী বলে মনে করি।
অন্যজন তার সাথে যোগ করে বলেন, আমার বাবা একজন আফ্রিকান আর মা জার্মান। তাই একজন কৃঞ্চাঙ্গ হিসেবে জর্জ ফ্লয়েডসহ বিশ্বের সকল কালো মানুষদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আমরা অব্যাহত রাখব।
সেইসাথে আগামী দিনগুলোতে বার্লিন ছাড়াও জার্মানির নর্দরাইন ভেস্টফালেনসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে জনসমাবেশ অব্যাহত থাকবে এমনটা আশা করছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম