শিরোনাম
২ জুলাই, ২০২০ ০৯:৫৬

চীনা নিরাপত্তা আইন কার্যকর, প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে জীবন শুরু হংকংবাসীর

অনলাইন ডেস্ক

চীনা নিরাপত্তা আইন কার্যকর, প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে জীবন শুরু হংকংবাসীর

নতুন আইন কার্যকর হবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। যারা হংকং এর স্বাধীনতার চিহ্ন প্রদর্শন করছিল। তাছাড়া আরও ৭০ জন যারা বড় একটি প্রতিবাদকারী গোষ্ঠির অংশ ছিল, তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।

হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করার মাধ্যমে-যে আইনটি ৩০ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে-চীন যদি ভেবে থাকে যে, তারা তাদের সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছে, তাহলে তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। 

কেননা ওই আইন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশদের হাত থেকে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অঞ্চলটির বাসিন্দারা চীনবিরোধী বিক্ষোভ করেছে।

সদ্যপ্রণীত ওই আইনের অধীনে প্রথমবারের মতো গ্রেফতারের ঘটনাগুলো ঘটেছে একইসঙ্গে। জুলাইয়ের প্রথমদিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী। আইনটি প্রয়োগ করা হবে, এমন ব্যানার নিয়ে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। সঙ্গে তাদের কাছে মজুত ছিল জল কামান, কাঁদানে গ্যাস এবং পিপার স্প্রে।

হংকংয়ের জন্য চীন প্রণীত নতুন এই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ’ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। স্বাধীকার আন্দোলন দমনের লক্ষ্যেই আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির জন্য আইনটি তৈরি করেছে বেইজিং।

উল্লিখত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘদিন ধরেই হংকংয়ে স্বাধীনতার দাবিতে তৈরি হওয়া ব্যাপক বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বেইজিং কর্তৃপক্ষের তৈরি কথিত এই জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই এর আওতায় প্রথম গ্রেফতারের ঘটনাটি ঘটেছে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর অভিযোগে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর