২ জুলাই, ২০২০ ১৪:০৮

মেক্সিকোতে ড্রাগ রিহ্যাব সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত ২৪

অনলাইন ডেস্ক

মেক্সিকোতে ড্রাগ রিহ্যাব সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত ২৪

মেক্সিকোর ড্রাগ রিহ্যাব সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছে ২৪ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার মেক্সিকোর ইরাপুয়াতো শহরের একটি ড্রাগ রিহ্যাব ফেসিলিটিতে এ ঘটনা ঘটে।

গুয়ানাজুয়াতো শহরের পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের গুলিতে আরও ৭ জন আহত হয়েছেন। গত দুই মাসে ইরাপুয়াতোতে এ ধরনের হামলার ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল।

ফেডারেল সরকারের তরফেও এ ঘটনার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার যে ছবি শেয়ার করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরে পড়ে রয়েছে ১০-১২ জনের রক্তাক্ত দেহ।

গোষ্ঠীগত সহিংসতার চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মেক্সিকো সরকার। সে দেশের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়াল লোপেজ ওবরাদোর ১৯ মাস আগে ক্ষমতায় আসার পরই সেখানকার রেকর্ড স্তরের সহিংসতার ঘটনার কমাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত তা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং গত বছর গণহত্যার ঘটনা নয়া রেকর্ড স্থাপন করে এবং ২০২০ সালে এখনও পর্যন্ত তা সর্বাধিক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে, ৬ জুন ইরাপুয়েতোতেই একটি ড্রাগ রিহ্যাব সেন্টারে তাণ্ডব চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা। সেই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সেই একই রিহ্যাব সেন্টারে বুধবারের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মেক্সিকোয় বর্তমানে অপরাধ ও সহিংসতার নয়া আখড়া হয়ে উঠেছে গাড়ি তৈরির হাব হিসেবে পরিচিত গুয়ানাজুয়াতো। মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমানে ড্রাগ রিহ্যাব সেন্টারগুলিকেই বেশি টার্গেট করা হচ্ছে।

গত বছর আগস্টে কোয়াটজাকোয়ালকোসে দক্ষিণ মেক্সিকোর বন্দরে একটি বারে সশস্ত্র হামলা চালায় বন্দুকধারীররা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ২৬ জনের।

মেক্সিকোয় হত্যার ঘটনা রেকর্ড ছুঁয়েছে অনেক আগেই। প্রতিদিন অন্তত ৯৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে দেশটিতে ৩৪ হাজার ৫৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ।

মেক্সিকোর এই তথ্যের সঙ্গে তুলনা করলে, ২০১৯ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ১১ হাজার যোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। 

বিশ্বের অন্যতম হত্যাকাণ্ডের দেশ হিসেবে মেক্সিকোর কুখ্যাতির জন্য দেশটির কুখ্যাত মাদক চক্রগুলোকে মূলত দায়ী করা হয়।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর