লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা ভারতের সঙ্গে চীনা সেনাদের সংঘর্ষের পর থেকে একাধিক ঘটনাক্রম ঘটে গেছে। শান্তি স্থাপনের জন্য দু পক্ষের মধ্যে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর। কিন্তু কিছুতেই থামছে না চীন। এবার হিমাচলের কিন্নর জেলার সীমান্ত এলাকায় তিব্বতের যে অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণ, সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সড়ক তৈরির কাজ করছে চীন।
পার্বত্য ওই এলাকা চীন ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথ তৈরি করছে। সম্প্রতি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দল সেখানকার সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে গেলে রাস্তা তৈরির বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
তিব্বতের সঙ্গে ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে ভারতের। যদিও চীনের রাস্তা তৈরি নিয়ে এখনো ভারতীয় সেনাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চীন কিন্নর জেলার মোরঙ্গ ঘাঁটি এলাকার কুনু চাঙ্গ থেকে এগিয়ে খেম কুল্লার কাছে রাস্তা তৈরি করছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তা তৈরির কাজ। ২ কিলোমিটার নো ম্যানস ল্যান্ডেও চীন রাস্তা তৈরি করবে এরকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি চারঙ্গ গ্রামের সীমান্তে নজরদারিতে গিয়ে সীমান্তে রাস্তা বানানোর চিত্র দেখতে পায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। মাত্র ২ মাসের মধ্যে চীনের ২০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির বিষয়টি তাদের অবাক করেছে। রাস্তাটি ভারত-তিব্বত সীমান্ত বরাবর তৈরি করা হয়েছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সেই সদস্যরা জানিয়েছেন, এর আগের বছর অক্টোবরে তিব্বতের ভারতের অংশে থাকা শেষ গ্রাম তাঙ্গো অবধি সড়ক পথ ছিল চীনের। আর বরফ সরে যাওয়ার পরেই তিব্বতের শেষ গ্রামের থেকেও ২০ কিলোমিটার বেশি সড়ক পথ বানিয়ে ফেলেছে চীন। অন্যদিকে সাঙ্গলা ঘাঁটির ছিটকুলের পেছনে থাকা তিব্বতের যমরঙ্গলা পর্যন্তও রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বাসস্থান রঙ্গরিক দুম্মা -তে ৮ জুন নাগাদ ২০টি ড্রোন দেখা গেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি এখানে মাঝেমধ্যেই একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যে দলটি এই রাস্তা তৈরির খোঁজ পায় তারা ওই এলাকায় ৬ দিন ধরে টহল দেন। তারা দেখতে পায়, রাত হলেই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা তৈরির কাজ করে চীন। আর কাজ শুরুর আগে প্রথমে তারা ভারতীয় সীমান্তে নজরদারি করতে ড্রোন পাঠায়। রাতে ওই এলাকা বিস্ফোরণের শব্দেও কেঁপে ওঠে বলে জানান তারা। সড়ক নির্মাণের জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে ধারণা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই দলটির।
সূত্র : নিউজ ১৮।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক