মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন দাবি করছে, আগামী এক দশকের মধ্যে চীন তার পরমাণু অস্ত্র দ্বিগুণ করবে। গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের সামরিক শক্তি সম্পর্কে পেন্টাগন এমনই দাবি করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তার পরমাণু অস্ত্র আধুনিকীকরন করছে এবং বাড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী এক দশকের মধ্যে চীনের পরমাণু ওয়ারহেডের সংখ্যা বর্তমান সংখ্যার চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের কাছে বর্তমানে ২০০’র কিছু কম পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।
পেন্টাগনের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চিন সরকার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি বাড়াবে যা আমেরিকার জন্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
পেন্টাগনের প্রতিবেদন বলছে, চীন এরইমধ্যে জাহাজনির্মাণ, ভূমি-ভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ সামরিক সরঞ্জামাদি আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে আমেরিকার সমকক্ষ হয়েছে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ অ্যাসোসিয়েশনের নিরস্ত্রীকরণ এবং ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিভাগের মহাপরিচালক কিংস্টন রিফ পেন্টাগনের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়েছেন, এই প্রতিবেদনে চীনের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা যদি সত্য হয় তাহলেও রাশিয়া এবং আমেরিকা চীনের চেয়ে তখনও পরমাণু অস্ত্রের দিক দিয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর থাকবে। তার মতে, চীনের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে অতিমাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ