সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের আরও সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তুরস্কের প্রসিকিউটররা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সন্দেহভাজনদের মধ্যে দু’জনের অপরাধের সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অন্য চারজন পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেতে পারে।
দ্বিতীয় দফা অভিযোগে নাম আসা সন্দেহভাজনদের দু’জন কনস্যুলেট কর্মী, যারা সাংবাদিককে হত্যার পর তুরস্ক ছেড়ে যান। অপর চার সন্দেহভাজন হত্যার পরপরই অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করেছে, তারাও তুরস্কে নেই।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যান খাশোগি। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজ। কিন্তু ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিককে ফিরে আসতে দেখা যায়নি। তার দেহাবশেষও পাওয়া যায়নি।
এর আগে ইস্তাম্বুলের আদালত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক দুই সহযোগীসহ ২০ জন সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করে।
তুরস্কের প্রসিকিউটরদের দাবি, সৌদি ডেপুটি ইন্টেলিজেন্স চিফ আহমেদ আল-আসিরি ও রয়্যাল কোর্টের মিডিয়া উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানি হত্যার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তবে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, খাশোগি হত্যার আদেশ সৌদি সরকারের ‘সর্বোচ্চ স্তর’ থেকে এসেছে। যদিও সরাসরি যুবরাজকে দায়ী করেননি তিনি। যুবরাজও এ হত্যার আদেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এও বলেন, দেশের ডি-ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে ‘সম্পূর্ণ দায়িত্ব’ বহন করেন।
এ দিকে চলতি মাসেই সৌদি আরবের আদালত জামাল খাশোগি হত্যায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে পরিবর্তে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম