লাদাখ সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে পাঁচরকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে চীন। গালওয়ান সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক গুরুতর আঘাত পেয়েছে। বুধবার চীনা সেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে এমনটাই বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
লাদাখ সীমান্তে চীনের আগ্রাসন ও ভারতের প্রত্যুত্তরে পরিস্থিতি যে কতটা অগ্নিগর্ভ তা এদিন পরিষ্কার করেন জয়শংকর। বেশ কয়েকদফা সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পরও বেইজিংয়ের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জয়শংকর জানান, সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করার পাঁচরকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে চীন। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘Lowy Institute’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না করেই জয়শংকর বলেন, বিগত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ পর্ব চলছে। ১৯৭৫ সালের পর গালওয়ান সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়েই এসেছে। এর ফলে স্বভাবিকভাববেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চিন চুক্তি মানছে না। এক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা বড় বিষয় নয়। ব্যাপার হচ্ছে চীন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ৮ মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চীনের সেনা। যে কোনও মুহূর্তে তৈরি হতে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতি। সূত্র : কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক