করোনাকালে সংকটের মুহূর্তে কোটি কোটি মার্কিন নাগরিক বিপাকে পড়লেও ধনকুবেরদের জন্য নতুন দুয়ার খুলেছে। এ সময় দেশটির শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ মার্কিন ডলার। এই অর্থের পাঁচ ভাগের এক ভাগই কামিয়েছেন যথাক্রমে আমাজন ও টেসলার কর্ণধার জেফ বেজোস ও ইলন মাস্ক।
অন্যদিকে ভয়াবহ চিত্র কোটি কোটি মার্কিন নাগরিকের। করোনা মহামারির কারণে অর্থাভাবে কোটিরও বেশি মার্কিনি খাদ্যাভাবে ছিলেন এবং কাজ হারিয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট'র।
গত বছর টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্কের মোট সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ গুন, যার পরিমাণ ১৩ হাজার ২শ’ কোটি ডলার। এর ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫ হাজার ৯শ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা তাকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতে পরিণত করেছে। অন্য দিকে আমাজনের জেফ বেজোসের সম্পদ গত বছর বেড়েছে ৭ হাজার কোটি ডলার। তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮ হাজার ৬শ বিলিয়ন ডলার।
মাস্ক ও বেজোসের সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে শেয়ার বাজারে টেসলা ও আমাজনের দাম বৃদ্ধির ফলে। গত বছর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮শ শতাংশ। তবে আমাজনের ক্ষেত্রে বড় সংখ্যক আয় হয়েছে তাদের অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে। লকডাউনের কারণে দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমেরিকার অধিকাংশ জনগণ আমাজনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করেছে। এছাড়া আমাজনের আইটি সলিউশন কোম্পানি আমাজন ওয়েব সার্ভিসও গত বছর প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছে।
মহামারির বছরে এই দুই ধনকুবেরের যৌথভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২শ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের ১৩৯টি দেশের জিডিপির চেয়ে বেশি।
কিন্তু দরিদ্র মানুষের জন্য কতটা অর্থ দান করছেন মার্কিন ধনকুবেররা? অর্থনীতিবিদ গ্যাব্রিয়েল জুকম্যান জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়াররা তাদের মোট সম্পদের এক শতাংশেরও কম অর্থ দাতব্য কাজে ব্যয় করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল