২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির মাধ্যমে ভারত পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত মানের পাঁচটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০ কিনতে রাজি হয়।
রাশিয়ার সঙ্গে এই অস্ত্র চুক্তি প্রথম থেকেই ভালভাবে নেয়নি আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এই মর্মে হুঁশিয়ারি দেন যে ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে এই অস্ত্র কেনে, তাহলে নয়াদিল্লিকে বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে। আর এবার সেই পদক্ষেপেই এক ধাপ এগিয়ে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন কংগ্রেসের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস। খবর ইকোনোমিক টাইমসের।
রিপোর্টে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে যে ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনে তাহলে আগামী দিনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে। তবে মার্কিন এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ২০১৯ সালে এই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার রাশিয়াকে দেয় ভারত।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমস্ত রকমের প্রতিরক্ষা চুক্তি একে একে কার্যকর হয়ে চলেছে।
তবে ভারত প্রথম দেশ নয় যার বিরুদ্ধে এই এস-৪০০ কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ভারতের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে এই অস্ত্র কেনে তুরস্ক। যার ফলে ইতিমধ্যে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে ন্যাটো সদস্য সেই দেশকে।
এদিকে, আমেরিকার এই রিপোর্টটিকে খুব বেশি আমল দিতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের দাবি, এই রিপোর্ট সত্ত্বেও রাশিয়ার সামরিক চুক্তি বাতিল করবে না ভারত। মস্কোর সঙ্গে পরীক্ষিত বন্ধুত্ব বজায় রেখেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করেছে নয়াদিল্লি। বাইডেন প্রশাসনকেও সেই কথা মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া, কৌশলগত কারণে এশিয়া মহাদেশে চীনকে রুখতে ভারতের ওপরই ভরসা রাখতে হবে ওয়াশিংটনকে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম