সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও কানাডা মিয়ানমারের জেনারেলদের উপর ক্ষমতা দখল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও, ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন ইইউ সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। অন্যদিকে, কানাডার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ৯ জন জেনারেলের নাম আছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে, সামরিক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিয়া তুন, রাষ্ট্রমন্ত্রী সো তুত এবং উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থান হ্লাইং রয়েছেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গারনিউ এক টুইট বার্তায় জানান, 'মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর কানাডা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে মিয়ানমারের জনগণের পাশে আছি এবং তাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের প্রত্যাশার প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।'
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করা ছাড়াও দমন-পীড়ন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, নির্বিচারে গ্রেপ্তারসহ অনেক অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব মিয়ানমারের সামরিক জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে গত ১ ফেব্রুয়ারির ‘ক্যু’তে নেতৃত্ব দেওয়া মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেল ইইউ অঞ্চলে ঢুকতে পারবেন না। এ ছাড়া ইইউতে তাঁদের কোনো সম্পদ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জেনারেলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ ও গণতন্ত্রায়নে ইইউয়ের অঙ্গীকার বজায় থাকবে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল অং মিন হ্লাইংসহ বর্তমান ও সাবেক ১০ জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাঁদের সবার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির