এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক থেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী যুক্তরাষ্ট্রের যে মর্যাদা তা অর্জনের জন্য চীন এখন প্রযুক্তি চুরিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ছয়জন মার্কিন শিক্ষাবিদকে সম্প্রতি গ্রেফতার করার পর প্রযুক্তি চুরির চীনা প্রচেষ্টা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে। মার্কিন ওয়েবসাইট ‘রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস’-এর অনুসন্ধান শাখা রিয়েল ‘ক্লিয়ার ইনভেস্টিগেশন’-এর রিপোর্টে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, এশিয়ায় সামরিক অধিপতি শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জায়গা নেওয়া’ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা হওয়ার লক্ষ্যে চীন যে প্রয়াস নিচ্ছে তাতে গুরুত্ব হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি চুরি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা চীনের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে তাদের চমৎকার সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গবেষণা খাতের অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এদের মধ্যে আছেন এমআইটির ন্যানোটেকনোলজিস্ট গ্যাংচেন। চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তিনি। আরেকজন হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্র বিভাগের প্রধান চার্লস লিবার। তার কাজ ছিল চীনে কাজ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেরা সেরা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ জোগাড় করা। গত বছর জুলাইয়ে এফবিআই চারজন চীনাকে গ্রেফতার করে। এরা সাধারণ গবেষক সেজে পড়ালেখা করছিলেন। আদতে চারজনই ছিলেন চীনা আর্মি অফিসার। ট্রাম্পের আমলে প্রযুক্তি চুরি রোধে অভিযান চলার সময় হাজারখানেক চীনা ছাত্র ডিগ্রি ক্লাসের পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই স্বদেশে ফিরে যান। ধারণা করা হয়, চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এদের সহযোগ থাকায় গ্রেফতারের ভয়ে এরা পালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ৩ লাখ ৬০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। এর অধিকাংশই এমন সব কাজে লিপ্ত যা হয়তো কর্তৃপক্ষীয় নজরদারিতে ধরা পড়ে না।