১৭ মে, ২০২১ ১৪:৪০

হামাসের ‘সুড়ঙ্গপথে’ ইসরায়েলের কড়া নজর ছিল

অনলাইন ডেস্ক

হামাসের ‘সুড়ঙ্গপথে’ ইসরায়েলের কড়া নজর ছিল

সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে পেরিয়ে উঠতে ২০০২ সালে গাজার বেশকিছু এলাকাজুড়ে সুড়ঙ্গপথ গড়ে তোলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দল হামাস। সুরঙ্গপথটি তৈরি করা হয়েছিল বাণিজ্যিক স্বার্থে। ফিলিস্তিনরা ওই সুরঙ্গপথ ব্যবহার করতো তাদের প্রতিবেশী দেশ মিশর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ ইসরায়েলিরা তাদের প্রকাশ্যে ব্যবসা করার সুযোগই দিতো না। 

সেই সুরঙ্গ পথ ব্যবহার করে ২০০৪ ও ২০০৬ সালে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। ২০০৭ সালে হামাসের হাতে গাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। এরপর ওই সুড়ঙ্গপথ বিভিন্ন সময় ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। 

এরপর ২০১৩ সালে ইসরায়েল-গাজা সীমান্তের ঠিক নিচে তিনটি আলাদা আলাদা সুড়ঙ্গ পথ গড়ে তোলা হয়। হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের আরও কিছু সংগঠন ওই সুড়ঙ্গপথ নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। এমনকি ওই সুড়ঙ্গেই ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা, অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখা হতো। পরে আরও বিস্তার লাভ করে ওই সুড়ঙ্গপথ।

সুড়ঙ্গপথ থেকেই সংগঠনের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করা হতো। সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরাও বিপদে ওই সুড়ঙ্গেই আশ্রয় নিত। সেখান থেকেই হামলা করা হতো। ২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ওই সুড়ঙ্গপথেই যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করে হামাস। হামলা চালিয়ে ওই পথ ধরেই ফিরে যেত হামাস।

তবে সুড়ঙ্গপথেও সে ভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি হামাস। বরং ২০১৪-সালের যুদ্ধে ২ হাজার ২৫১ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। ইসরায়েলের প্রাণহানি ঘটে মাত্র ৭৪ জনের। সব মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ঘরছাড়া হন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

সেই সময় ৩২টি সুড়ঙ্গ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় ইসরায়েল। সুড়ঙ্গপথে হামাসকে রুখতে মাটির নিচে আলাদা করে ৪১ মাইল দীর্ঘ কংক্রিটের সীমান্তও গড়ে তোলে তারা। তাতে সেন্সর বসানো হয়, যাতে মাটির নিচে যেকোনো গতিবিধি ধরা পড়ে। কিন্তু সেই সেন্সর এড়িয়েও হামাস নতুন করে সুড়ঙ্গপথ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে।

অবশেষে চলতি বছর ১৪ মে রাতে একনাগাড়ে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেগুলোই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ক্ষেপণান্ত্রের পাশাপাশি ১ হাজার বোমা এবং গোলাও ছুড়েছে ইসরায়েল। তার তীব্রতায় গাজার রাস্তাঘাটও চৌচির হয়ে গেছে। সূত্র: আনন্দবাজার, সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর