তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গতকাল মঙ্গলবার উইঘুর ইস্যু ও দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ ফোনালাপের বিষয়টি তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে নিশ্চিন্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তুরস্ক। উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে তুরস্কের একজন বিরোধী দলীয় নেতার মন্তব্যের পর দূতাবাস বলেছিল এই সমালোচনার জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। চীনা দূতাবাসের এমন অবস্থানের পর রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে কিছুটা টানাপোড়েন চলছিল।
চীনা নাগরিকদের মতো করে দেশটিতে উইঘুর মুসলিমদের শান্তিতে বসবাস তুরস্কের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ সেটি বলেছেন এরদোগান। তবে তিনি এটিও বলেছেন যে, তুরস্ক চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বিবৃতিতে আরও জানায়, উইঘুর তুর্কদের চীনের নাগরিকদের মতোই সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ জীবন তুরস্কের জন্য যে গুরুত্বের তা তুলে ধরেছেন এরদোগান। তিনি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার কথাও জানিয়েছেন।
এরদোয়ান চীনা প্রেসিডেন্টকে আরও বলেছেন, তুরস্ক ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনীতিক ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই নেতা জ্বালানি, বাণিজ্য, পরিবহন ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন।
গত বছর চীনের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর তুরস্কে বসবাসরত প্রায় ৪০ হাজার উইঘুর এরদোগান প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। মার্চ মাসে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যেমন প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে এটিও তেমন একটি। চীনে উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
মার্চে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির আঙ্কারা সফরের সময় কয়েক হাজার উইঘুর বিক্ষোভ করেন। তুরস্কের কয়েকজন রাজনীতিকও মনে করেন, তুর্কি সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে উইঘুর অধিকারের কথা বিবেচনা করছে না। যদিও এরদোগান প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির