যুদ্ধের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আজারবাইজান সীমান্তে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। চলতি সপ্তাহে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইরানের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার পরপর প্রতিবেশী আজারবাইজান সীমান্তে মহড়া চালানোর এমন ঘোষণা দেয় ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার আজারবাইজান সীমান্তে মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এতে চলমান উত্তেজনা আবারও নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ইরানের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
ইরানের স্থলবাহিনীর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কিয়োমারস হায়দারি বলেন, এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে যুদ্ধের প্রস্তুতির লক্ষ্যে। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘খাইবার বিজয়’।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট সীমান্তে ইরানের মহড়া চালানোর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ইরান কেন এই সময় আমাদের সীমান্তে মহড়া ঘোষণা দিয়েছে, কেন তারা আর্মেনিয়ার জাবরাইল ফিজুলি ও জানজিলান সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে না।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বুধবার জানিয়েছেন, আজারবাইজান সীমান্তে মহড়া সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। সীমান্তে তেহরান কোনো ইহুদি শাসন বরদাস্ত করবে না।
ইসরায়েলের সঙ্গে আজারবাইজানের সম্পর্ক নিয়ে ইরান চিন্তিত। আজারবাইজানের অন্যতম প্রধান অস্ত্রদাতা দেশ ইসরায়েল। এদিকে, যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তার প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়াকে যে কোনো ধরনের সামরিক হঠকারিতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আর্মেনিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তিতে উপনীত হতে তার সরকার সব রকম প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু গত বছরের সংঘর্ষে নিজের হারানো ভূখণ্ড ফিরে পাওয়ার জন্য আর্মেনিয়া যদি কোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা চালায় তা হলে বাকু তার কঠোর জবাব দেবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার