ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য সরানোর দাবি করলেও পশ্চিমাদের দাবি, যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে সীমান্তের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে রুশ সেনারা। তারা ইতোমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে ৩১ মাইল তথা ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে এবং সেখানে একটি অস্থায়ী সেতুও নির্মাণ করেছে। এতে যুদ্ধের প্রবল আশঙ্কা করছেন পশ্চিমারা।
উপগ্রহচিত্র থেকে এসব বিষয় স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমারা। তাদের দাবি, উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে- ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানো তো দূরের কথা, এখনও ক্রমাগত সেনা পাঠিয়ে যাচ্ছে মস্কো। রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। অন্তত ১৪টি বাহিনী সীমান্তের কাছে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় সেখানে তৈরি করে ফেলা হয়েছে একটি অস্থায়ী সেতু।
এছাড়াও রুশ সীমান্ত-শহর ভালিউকিতে বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি ও সেনা কপ্টার মজুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার এই শহরটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। ক্রিমিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। ২০১৪ থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের এই অংশটি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাশিয়ার মোট সেনাবাহিনীর প্রায় অর্ধেক এখন ইউক্রেন সীমান্তে। যে পরিসংখ্যান জেনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, “রাশিয়া আসলেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তাদের বাহিনী সরায়নি। উল্টো আরও অনেক সেনা নিয়ে এসেছে। যা দেখে আমাদের আশঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এবং আমার ধারণা, তা হতে চলেছে কয়েক দিনের মধ্যেই।”
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়— “আপনি কি পুতিনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার কথা ভাবছেন?”
উত্তরে বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন— “না, আমার এখন সে রকম কোনও পরিকল্পনাই নেই।”
অন্যদিকে, যুদ্ধের আশঙ্কায় ইউক্রেনের পশ্চিমপ্রান্তে যুদ্ধবিমান পাঠাতে শুরু করেছে ন্যাটোবাহিনী। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/কালাম