ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার পর ইরান বলেছে, তারা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করছে, যাতে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল না হয়।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর চেষ্টা করব। এটি থামাতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করছি। যদি এতে কাজ না হয় এবং তারা (ইউরোপীয় দেশ) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে এর প্রতিক্রিয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় উপায় রয়েছে। আমরা সে ব্যাপারে যথাসময়ে আলোচনা করব।’
ই-থ্রি নামে পরিচিত ইউরোপের তিন শক্তিধর দেশ গত বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে জানায়, চলতি আগস্ট মাসের শেষের দিকে কূটনৈতিক সমাধান না হলে তারা তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত।
এই তিন দেশই ২০১৫ সালের সেই চুক্তির স্বাক্ষরকারী, যার আওতায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বিধিনিষেধের বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ওই চুক্তিতে একটি ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ রয়েছে, যা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সুযোগ দেয়।
তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চিঠিতে বলেন, যদি ইরান ২০২৫ সালের আগস্টের শেষের আগে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে না চায়, অথবা সময় বাড়ানোর সুযোগ গ্রহণ না করে, তাহলে ই-থ্রি স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম চালু করতে প্রস্তুত।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো বুধবার এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বলেন, যদি ইরান তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে, তাহলে ফ্রান্স এবং এর জার্মান ও ব্রিটিশ অংশীদাররা আগস্টের শেষে অস্ত্র, পরমাণু সরঞ্জাম ও ব্যাংকিং খাতে বৈশ্বিক অবরোধ পুনর্বহাল করবে, যা ১০ বছর আগে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
আরাঘচি এ ব্যাপারে বলেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল ‘নেতিবাচক’ হবে। তবে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ‘অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে।
সূত্র : তেহরান টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত