সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে শুক্রবার ৩০তম দিনে গড়িয়েছে রুশ অভিযান। বিগত ২৯ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানের ঠিক এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো সামরিক জোটের নেতারা শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে পূর্ব ইউরোপে জোটের দেশগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈঠকের পর জোটের মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত ৪০ হাজার ন্যাটো সৈন্য পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়ায় ন্যাটো সেনা বহর মোতায়েন করা হবে।
ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পেছনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রধান তাড়না ছিল ন্যাটো জোটকে একটি বার্তা দেওয়া যে পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার দোরগোড়ায় এই জোটের সম্প্রসারণ, সামরিক তৎপরতা আর বরদাস্ত করা হবে না।
কিন্তু পূর্ব ইউরোপে আরও ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট কার্যত জানিয়ে দিল তারা পুতিনের দাবির কোনও তোয়াক্কা করছে না।
স্টলটেনবার্গ বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য ন্যাটো প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর ন্যাটো জোটের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় ইউরোপে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সঙ্কট মোকাবেলায়’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর ইউরোপে নিরাপত্তার মানচিত্র আমূল বদলে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা নেতাদের এই বৈঠকে কিয়েভ থেকে ভিডিও লিংকে বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে তিনি ন্যাটোর কাছ থেকে ‘অবাধ সামরিক সাহায্য’ দাবি করেন। এ সময় তিনি যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক চান পশ্চিমাদের কাছে। তবে এবার আর ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি করেননি জেলেনস্কি। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম