বিশ্বজুড়ে আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার লুকিয়ে রেখেছেন রুশ ধনকুবেররা। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর নানা নিষেধাজ্ঞার ঢেউয়ের মাঝে এখন সেগুলো সেই অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ।
বিশাল এই অর্থের প্রায় এক-চতুর্থাংশ রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রুশ এসব ধনীরাই বিশ্বজুড়ে “অলিগার্ক" নামে পরিচিত।
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিল ২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে রুশ ধনকুবের এই তথ্যের কথা জানায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক দশক ধরে রাশিয়ান ধনকুবেররা বিলিয়ন ডলার বিদেশে স্থানান্তরিত করেছে। এগুলোতে তারা বিভিন্ন শেল কোম্পানিতে রেখেছে, যাতে তা শনাক্ত করা কঠিন হয়।
ঐতিহাসিকভাবে, এই অর্থের বেশিরভাগ গেছে সাইপ্রাসে। মূলত দেশটির অনুকূল করের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েই সেখানে বিশাল অঙ্কের অর্থ নিয়ে গেছেন রুশ ধনকুবেররা। কারও কারও কাছে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি “মস্কো অন দ্য মেড” নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
ব্রিটিশ ওভারসিজ টেরিটরি (অঞ্চল) যেমন ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জও রুশ ধনকুবেরদের অর্থলগ্নির প্রিয় গন্তব্য।
এছাড়াও বিশাল এই অর্থের কিছু অংশ গেছে অর্থনৈতিক রাজধানী যেমন নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনে, যেখানে এগুলো বিনিয়োগ করা যায় এবং রিটার্ন করা যায়।
কিন্তু ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার সেই অর্থ খুঁজে বের করার জন্য নানা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এরপর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে সোমবার ৩৩তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান। বিগত ৩২ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম