কাতারে অনুষ্ঠানরত সামরিক প্রদর্শনীতে ইরান এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র উপস্থিতির ব্যাপারে আমেরিকা যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে তার কড়া জবাব দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে মার্কিন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই অনুষ্ঠানে তার দেশ এবং আইআরজিসি'র অংশগ্রহণ করার সব ধরনের বৈধ অধিকার রয়েছে। রবিবার তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সামরিক প্রদর্শনীতে ইরান সরকারিভাবে অংশগ্রহণ করছে; তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করা মার্কিন সরকারের জন্য অসম্মানের ব্যাপার।
গত ২৪ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস কাতারের আন্তর্জাতিক সমুদ্র প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী এবং সম্মেলনে ইরানের অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শনের জন্য সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সতর্ক করেন। প্রাইস বলেন, কাতার প্রদর্শনীতে ইরানের সামরিক কর্মকর্তা এবং আইআরজিসি'র কর্মকর্তাদের উপস্থিতির কারণে আমেরিকা গভীরভাবে হতাশ ও বিব্রত।
বক্তব্যের জবাবে খাতিবজাদে বলেন, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে অন্য দেশগুলোর মতো ইরানের নিজের সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রকাশ্যে প্রদর্শন করার অধিকার রয়েছে।
খাতিবজাদে বলেন, আইআরজিসি হচ্ছে ইরানের সামরিক স্তম্ভ এবং দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তারা মৌলিক ভূমিকা পালন করে। ফলে এই ধরনের প্রদর্শনীতে আইআরজিসি'র সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ একটি সাধারণ বিষয়। বরং প্রকৃতপক্ষে উদ্বেগের বিষয় যেটি তা হচ্ছে যে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি রয়েছে যা এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ করে তুলেছে। আমরা বারবার বলে আসছি মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই নিরাপত্তা আসতে পারে একমাত্র এই অঞ্চলের জনগণ এবং তাদের মধ্যকার অংশীদারিত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে। বিদেশী সেনা উপস্থিতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
কাতার সামরিক প্রদর্শনীতে ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামাদি প্রদর্শন করছে।-পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত