পাকিস্তানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গটি সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে চলে গেছে। সোমবার এই বিষয়ে শুনানির পর মুলতবি করা হয়। আজ মঙ্গলবার পুনরায় শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রায় দিতে পারেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ডন’ এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নতুন সাংবিধানিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান।
আজ মঙ্গলবার দেশটির নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন আইনি এবং প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করা অসম্ভব জানিয়ে দিতেই এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের এক প্রবীণ কর্মর্কতাকে উদ্ধৃত করে দেশটির বিভিন্ন সংবাদপত্রের দাবি, সাধারণ নির্বাচন করাতে অন্তত ছ’মাস সময় দরকার। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। তড়িঘড়ি সেই কাজ শেষ করা যাবে না। এটাই মূলত দ্রুত ভোট করানোর বিরুদ্ধে প্রধান অন্তরায়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “আসন পুনর্বিন্যাস সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেখানে শুধুমাত্র আপত্তি নথিভুক্ত করার জন্যই এক মাস সময় লাগে।”
পাশাপাশি যে কাগজে ছাপ দিয়ে মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, সেই ব্যালট পেপার পাকিস্তানে অমিল। তা আনাতে হয় বিদেশ থেকে, তাতেও অনেকটা সময় প্রয়োজন। এছাড়াও ভোটার তালিকা সংশোধনীর বিরাট কাজ তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভাঙার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করানোর কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা যে মোটেও সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম