গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত এই দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত।
স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে শুক্রবার ৫১তম দিনে গড়িয়েছে এই সামরিক অভিযান। এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধীও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ফলে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশেপাশের এলাকা এবং চেরনিহিভ থেকে পিছু হঁটতে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
হামলার ৫০তম দিনে বৃহস্পতিবার এক ভাষণে বিশ্ব নেতাদের ‘ক্ষমতা’ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
তিনি রুশ অভিযানের ৫০তম দিনে নিজ দেশের জনগণকে ‘সাহসী দেশের অটুট জনগণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার ভাষণ শুরু করেন।
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ৫০ দিন প্রতিরোধ করেছি। রুশ আক্রমণের পঞ্চাশ দিন।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সময়কালে, এই ৫০ দিন আমাকে অনেক বিশ্ব নেতাকে ভিন্নভাবে নিজেদেরকে দেখিয়েছেন। অনেক পশ্চিমা নেতাদের সাথে তার কথোপকথন এবং বৈঠকের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, “বিগত ৫০ দিনে আমি রাজনীতিবিদদের এমন আচরণ করতে দেখেছি যেন তাদের কোনও ক্ষমতাই নেই। এবং আমি অ-রাজনীতিবিদদের দেখেছি যারা এই ৫০ দিনে নেতৃত্বের দাবিদার কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের চেয়েও বেশি করেছেন।”
তার বক্তৃতায় তিনি রাশিয়ার মস্কভা জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি। তবে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যারা দেখিয়েছে যে রুশ জাহাজ যেতে পারে... কেবল তলদেশে।
জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষার পঞ্চাশ দিন একটি অর্জন। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়দের কৃতিত্ব। ২৪ ফেব্রুয়ারি যারা জীবনের মূল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল- লড়াই করার জন্য। প্রকৃত মানুষ হিসেবে। হাল ছেড়ে দেয়নি এবং বিশ্বাসঘাতকতাও করেনি।” সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম