গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। শুক্রবার (৩ জুন) ১০০তম দিনে গড়িয়েছে এই যুদ্ধ। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন ঠিক কি অবস্থায় আছে - তার অনেকখানি ধারণা পাওয়া যেতে পারে নিচের তিনটি উক্তি থেকে।
এক. ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলছেন, তার দেশের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
দুই. যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ তাদের সবশেষ মূল্যায়নে বলছে, রাশিয়া এখন পূর্ব ডোনবাসে কৌশলগত সাফল্য পাচ্ছে, যদিও এর জন্য তাকে প্রচুর মূল্য দিতে হচ্ছে।
তিন. ন্যাটোর প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ অন্যদিকে বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন 'ওয়ার অব অ্যাট্রিশন' বা 'দাঁতে দাঁত চেপে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া'-র অবস্থায় উপনীত হয়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য' তৈরি হতে হবে।
রাশিয়ার সাফল্য
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের মূল্যায়নে বলছে, ডোনবাস দখলের যুদ্ধে রাশিয়া এখন নিয়ন্ত্রক অবস্থানে আছে বলেই মনে হচ্ছে, তারা লুহানস্ক অঞ্চলের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে নিয়েছে, এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো তারা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে।
একই সাথে তারা বলছে, এই যুদ্ধের জন্য সৈন্য সমাবেশ করতে গিয়ে তাদের বিপুল মূল্যও দিতে হয়েছে।
কী ছিল রাশিয়ার মূল উদ্দেশ্যগুলো?
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুদ্ধ শুরুর সময় রাশিয়ার যে মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিল- সেগুলোর একটিও আসলে অর্জিত হয়নি।
তাদের মতে মস্কো চেয়েছিল, শুরুতেই তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং ইউক্রেনীয় সরকারের কেন্দ্রগুলো দখল করে নেবে। কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধ তাদের সেই প্রয়াস ব্যর্থ করে দেয়।
অভিযান শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রুশ বাহিনী কিয়েভের নিকটবর্তী হস্টোমেল বিমানঘাঁটির দখল নিতে পারেনি। এর পরিণতিতে তাদের আক্রমণ ঠেকিয়ে রুশ বাহিনীকে পেছনে ঠেলে দেয় ইউক্রেনীয়রা।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দফতর বলছে, রুশ বাহিনী তাদের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল অনেকগুলো ভুল অনুমানের ভিত্তিতে। তাছাড়া তাদের কৌশলগত পদক্ষেপগুলোও তারা ঠিকভাবে নিতে পারেনি।
কিন্তু রাশিয়া অবশেষে কিয়েভ দখলের আশা ত্যাগ করে, এবং ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বে ডোনবাসের দিকে তাদের যুদ্ধপ্রয়াসকে পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত করে। আর এরপরই যুদ্ধের চেহারাটা ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে থাকে।
এখানে রুশ বাহিনী ডোনবাসে মনোনিবেশ করার পরই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসে গতিসঞ্চার হয়, এবং এখন তারা ইউক্রেনীয় প্রতিরোধকে দমন করতে সক্ষম হয়েছে।
এখন লুহানস্কের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা, পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে আর হয়তো দু’ সপ্তাহ লাগবে। অন্যদিকে ডোনেৎস্ক অঞ্চলেরও এক বড় অংশ এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে ।
রাশিয়ার ‘বিজয়?’
যুদ্ধের ১০০ দিনের মাথায় এখনকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করেছেন বিবিসির জেমস ল্যানডেল।
সব যুদ্ধেই উত্থান-পতন থাকে, আর এর গতিপথও প্রায় কখনওই সরল হয় না। প্রশ্ন হল, রাশিয়া যদি এ যুদ্ধে জয়লাভ করে- তাহলে কেমন হতে পারে সেই বিজয়?
পশ্চিমা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া যদিও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তবে রাজধানী কিয়েভ দখল করা এবং ইউক্রেনের অধিকাংশ অঞ্চলকে পদানত করার পরিকল্পনা তারা এখনও করে যাচ্ছে।
“সেই চূড়ান্ত লক্ষ্য রাশিয়া এখনও ত্যাগ করেনি, বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সেই রেজনিকভ বলেছেন, রাশিয়া এখন প্রলম্বিত যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে, এবং ইউক্রেনের দক্ষিণ দিকে গড়ে তুলছে কয়েক স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
“রাশিয়া এখন কিছুটা একঘরে হয়ে পড়েছে। তাই যে পরিমাণ ইউক্রেনীয় ভূমি তারা দখল করেছে সেটাকে ধরে রাখার জন্য তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নেবে এবং সেটাই হয়তো আমরা দেখতে পাচ্ছি,”বলেন কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সামরিক বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলি ।
বিশ্লেষকদের মতে, এমনও হতে পারে যে রাশিয়া হয়তো ডোনবাসে তাদের বর্তমান সাফল্যকে কাজে লাগাবে, এবং সেখানে নিজের অবস্থানকে সংহত করার পর বহু সৈন্যকে অন্য জায়গায় যুদ্ধ করতে পাঠাতে পারবে।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের অনুমান, তখন হয়তো আবার কিয়েভ দখলের চেষ্টা করতে পারে রাশিয়া।
একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, রাশিয়ার সৈন্যসংখ্যা বিপুল, আর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে এ কারণে ভুগতে হবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এর মধ্যেই স্বীকার করেছেন যে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় একশ' ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছে এবং ৫০০ জন আহত হচ্ছে।
“জেলেনস্কি স্বীকার করছেন যে তার দেশের এক-পঞ্চমাংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আর এই একশ' দিনের মধ্যে মাত্র গত ক'দিন ধরে আমরা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে ইউক্রেনের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- তার একটা চিত্র পাচ্ছি। এতদিন ধরে আমরা শুধু হিসেব পেয়েছি যে রুশদের কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বলেন সৈয়দ মাহমুদ আলি।
পুতিন কি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে পারেন?
এমনও হতে পারে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো সবাইকে অবাক করে দিয়ে একতরফাভাবে একটা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দিতে পারেন।
ড. সৈয়দ মাহমুদ আলি বলছেন, “সেভেরোডোনেটস্ক যদি রুশদের হাতে চলে যায়, তাহলে তাদের বলার সুযোগ আসবে যে ডোনবাস ও মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যে লক্ষ্য তাদের ছিল- সেটা অর্জিত হয়েছে। ইউক্রেনীয়রাও হয়তো এখন স্বীকার করে নেবে- যদিও এখনও তারা তা বলছে না- যে যুদ্ধ চলতে থাকলে তাদের খুব বেশি কিছু অর্জন করার থাকবে বলে তারা আর মনে করছে না।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলোতে রাশিয়া দখল কায়েম করেছে এরপর পুতিন ‘বিজয় ঘোষণা’ করে বলতে পারেন- তার “বিশেষ সামরিক অভিযান” সম্পূর্ণ হয়েছে, ডোনবাসের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন সুরক্ষিত, ক্রিমিয়া পর্যন্ত স্থল-করিডোরও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
তাই তিনি আগেভাগেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে উল্টো ইউক্রেনকেই লড়াই বন্ধ করতে আহ্বান জানাতে পারেন।
“এমন একটা কৌশল রাশিয়া যেকোনও সময় নিতে পারে। ইউরোপের দিক থেকে ইউক্রেনের ওপর একটা চাপ আছে যেন তারা শান্তির বিনিময়ে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেয়। রাশিয়া চাইলে হয়তো এটার সুযোগ নিতে পারে,” বলেন যুক্তরাজ্যের চ্যাটহ্যাম হাউজ গবেষণা কেন্দ্রের রাশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কির জাইলস।
প্যারিস, বার্লিন ও রোমের কূটনৈতিক মহলে এ ধরনের কথাবার্তা ইতোমধ্যেই শোনা গেছে।
কথাটা হল এরকম যে “যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কোনও দরকার নেই, চলুন সবাই মিলে একটা যুদ্ধবিরতি করে ফেলি, বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে- তার অবসান ঘটাই।”
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশই এতে রাজি নয়।
এসব দেশের নীতিনির্ধারকদের কথা হলো, ইউক্রেনের স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থাকে রক্ষার স্বার্থে রুশ আগ্রাসনকে অবশ্যই ব্যর্থ হতে হবে- তাকে কোনওভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।
কাজেই, একতরফা রুশ যুদ্ধবিরতি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে না।
তাই এতে অবাক হবার কিছু নেই যে ন্যাটো জোটের প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ পশ্চিমা দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য তৈরি হবার কথা বলছেন।
দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাওয়া
স্টলটেনবার্গ যা বলছেন, তাহলো ‘ওয়ার অব অ্যাট্রিশন’ বা দাঁতে দাঁত চেপে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা।
এর মানে- যুদ্ধে কোনও পক্ষই হয়তো এগুতে পারছে না- কিন্তু পিছিয়েও যাচ্ছে না, এক জায়গায় থেকেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, মাসের পর মাস বা এমনকি বছরের পর বছর ধরে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো মনে করতে পারেন- তিনি যদি এই “কৌশলগত ধৈর্য” দেখাতে পারেন তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো একসময় এই ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাদের মনোযোগ চলে যাবে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে বা চীনের হুমকির দিকে।
তবে, পশ্চিমা দেশগুলো যদি দৃঢ়সংকল্প দেখিয়ে যেতে থাকে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতেই থাকে- তাহলে এ যুদ্ধ একটা “চিরকালের যুদ্ধে” পরিণত হতে পারে।
ইউক্রেনের পক্ষেও কি জিতে যাওয়া সম্ভব?
কিন্তু সব হিসেব-নিকেশ ভুল প্রমাণ করে ইউক্রেনও কি এ যুদ্ধে জয় পেতে পারে? তারা কি রাশিয়ার সৈন্যদেরকে ২৪ ফেব্রুয়ারির আগের অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে?
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন অবশ্যই এ যুদ্ধে জয়লাভ করবে।
এমন যদি হয় যে রাশিয়া পুরো ডোনবাস দখল করতে পারল না, ইউক্রেন নতুন-পাওয়া দীর্ঘপাল্লার রকেট দিয়ে হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করে নিল- তাহলে কী হবে?
নীতিনির্ধারকরা এমনটা ভাবতেই পারেন- তবে তারা নিশ্চয়ই এটাও মাথায় রাখবেন যে ভ্লাদিমির পুতিন যদি দেখেন যে পরাজয় আসন্ন, তাহলে তিনি হয়তো রাসায়নিক বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে বসতে পারেন।
লন্ডনের কিংস কলেজে ইতিহাসবিদ নিয়াল ফারগুসন কয়েকদিন আগে ঠিক একথাই বলেছেন।
“পুতিনের হাতে যেহেতু পারমাণবিক বিকল্প আছে, তাই তিনি কনভেনশনাল যুদ্ধে পরাজয় মেনে নেবেন- এমন সম্ভাবনা খুব কম,” ফারগুসন।
যুদ্ধ যদি চলতেই থাকে তাহলে কী হবে?
যুদ্ধে এই অচলাবস্থা সৃষ্টিও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রগুলোর একটি।
এক্ষেত্রে কোনওপক্ষই সামরিক দিক থেকে কোনও অগ্রগতি ঘটাতে পারছে না, আলোচনাতেও কোনও ফল হচ্ছে না, রাজনৈতিক সমাধানও হচ্ছে না- এমন একটা অবস্থাও তৈরি হতে পারে।
যুদ্ধে লোকবল, অস্ত্র ও অর্থ হারাতে হারাতে উভয়পক্ষই তখন ক্লান্ত ও হতোদ্যম হয়ে পড়বে।
কারো জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াটা আর লাভজনক থাকবে না।
এ অবস্থায় কি কিয়েভের নেতৃত্ব- পশ্চিমা সমর্থনের ওপর আস্থা হারিয়ে- মস্কোর সাথে আলোচনায় বসে পড়তে পারে?
সৈয়দ মাহমুদ আলি বলেন, “এমন হতে পারে যে দু’পক্ষই বর্তমান পরিস্থিতিকে বাস্তব ভিত্তি হিসেবে মেনে নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ভাবতে পারেন। তবে কোন পক্ষ কি শর্ত দেবেন এবং অপরপক্ষ তা মেনে নেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
“এ ক্ষেত্রে দু’পক্ষেরই অনেক রকম হিসাব-নিকাশ রয়েছে যে কে কতটুকু ছাড়বেন, কতটুকু রাখবেন এবং তাতে কার কতটা লাভ-ক্ষতি হবে,” বলেন সৈয়দ মাহমুদ আলি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খোলাখুলিই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে এটা নিশ্চিত করা যে আলোচনার টেবিলে ইউক্রেন যেন যত বেশি সম্ভব শক্তিশালী অবস্থানে থাকে।
কিন্তু কী হবে যদি যুদ্ধ মাসের পর মাস চলতেই থাকে? ইউক্রেনের নেতৃত্ব রাশিয়াকে একেবারেই বিশ্বাস করে না- তাই রাজনৈতিক সমাধানও হবে অত্যন্ত কঠিন।
শান্তি চুক্তি হলেও তা হয়তো ক’দিন পরই তা ভেঙে পড়তে পারে, যুদ্ধ আবার শুরু হয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে এবং পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে।
এক পক্ষ হয়তো চাইবে যুদ্ধ থামুক। কিন্তু রাশিয়া জিতে যাচ্ছে- এমনটা দেখলে কিছু পশ্চিমা দেশও হয়তো উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতেও চাইতে পারে।
বিবিসির জেমস ল্যানডেল লিখেছেন, একজন পশ্চিমা কূটনীতিক ব্যক্তিগতভাবে তাকে বলেছেন- পশ্চিমা জোটের এখন উচিত হবে প্রশান্ত মহাসাগরে একটি পারমাণবিক অস্ত্রের ‘পরীক্ষা’ চালানো- রাশিয়ার প্রতি একটি সতর্কবাণী হিসেবে।
সুতরাং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী- তা এখনও অজানা।
সৈয়দ মাহমুদ আলির মতে, দু’ পক্ষ আলোচনা শুরু করতে রাজি হলেও যে এ যুদ্ধ এক্ষুণি বন্ধ হবে- তা নয়।
“আলোচনা শুরু হলেও সেটা দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ এখানে শুধু দুটো পক্ষই তো নয়, ইউক্রেনের সাথে অনেকগুলো রাষ্ট্র রয়েছে, তাদের বিভিন্ন মতামত আছে। তারা সবাই নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করবে।
“কাজেই আমি মনে করি আলোচনা হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে কিন্তু যুদ্ধ এত সহজে শেষ হবে না,” বলেন ড. আলি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/কালাম