চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর বহির্দেশের ‘সাফারি পার্ক’ কিংবা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধ করার ‘মল্লভূমি’ না।
সোমবার দক্ষিণ চীন সাগর পরিচালনায় ‘কন্ডাক্ট অব পার্টিজ’ ঘোষণার ২০তম দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু অঞ্চলটির আশেপাশে অবস্থিত দেশগুলোর সমাধান করা উচিত।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের পুরো মালিকানা নিজের বলে দাবি করে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো এটা মানতে রাজি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের মতো প্রতিবেশীদের ভয় দেখাচ্ছে চীন।
চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। চীনের দখলে থাকলেও দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।
১৯৭৪ সালে ভিয়েতনামের সেনাদের সঙ্গে ছোট এক যুদ্ধের পর প্যারাসেল দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয় চীন। ভিয়েতনাম ও চীন এখনো দ্বীপটি নিজেদের বলে দাবি করে।
মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও ফিলিপাইন দক্ষিণ চীন সাগরের অন্য অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। তবে সেখানে চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির পাশাপাশি বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার এ সামরিক সংঘাত দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি ডেকে আনবে। সে ক্ষেত্রে সংঘাত নিশ্চিতভাবেই বড় পরিসরে ছড়িয়ে যাবে। সূত্র: রয়টার্স
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল