ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার উপকূলে ভিড়েছে চীনের জাহাজ। কেন অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে ব্যাখা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, সামরিক ক্ষেত্রে কোনও সুবিধা ভোগ করতে দেওয়া হবে না চীনকে।
এর আগে চীনের জাহাজ নিজেদের উপকূলে আসার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কা অনুমতি দেয়নি। পরে অবশ্য সেই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে ভারত ও আমেরিকা আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ এই জাহাজ পিপলস লিবারেশন আর্মি ব্যবহার করে।
এবার এ নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আমরা হামবানটোটা বন্দরকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেব না চীনকে। রবিবার জাপানের একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। ‘ইয়াং ওয়াং ৫’ নামে ওই চীনা জাহাজটি দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার বন্দরে আসার দিন দুয়েক আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই জাহাজটি মিলিটারি পর্যায়ের নয়। এটি গবেষণামূলক জাহাজ। সেভাবেই আমরা জাহাজটিকে বন্দরে আসতে দিয়েছি। এদিকে এ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আগেই আপত্তি তোলা হয়েছিল। ভারতের দূতাবাস কলম্বোকে আগেই আপত্তির কথা জানিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্তরেও আলোচনা হয়েছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার উপর কিছু দেশের চাপ দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত নয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে দেশটি ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও আর্থিক সহায়তা করেছে ভারত। আর চীন দিয়েছে মাত্র ৭৬ মিলিয়ন ডলার। তবে যে বন্দরে চীন তাদের জাহাজ ভিড়িয়েছে সেটা চীনের কোম্পানি পরিচালিত। এটি ২০১৭ সাল থেকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া রয়েছে চীনকে। সূত্র: দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম