সাইরাস মিস্ত্রির দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়ি থেকে ‘ভেহিকল ডাটা’ সংগ্রহ করল গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মার্সিডিজ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ওই সাঙ্কেতিক তথ্যের অর্থ উদ্ধার করে তা বিশ্লেষণ করা হবে। জার্মান গাড়ি নির্মাণ সংস্থা মার্সিডিজ জানিয়েছে, পুলিশ ঘটনাটির যে তদন্ত করছে তার সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করছে তারা। এর পাশাপাশি নিজেরাও দুর্ঘটনার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে।
মার্সিডিজের ২০১৭ সালের মডেল জিএলসি ২২০ডি ৪ম্যাটিক-এ তিন আরোহীর গাড়িতে ছিলেন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, হাইওয়ে ধরে গাড়িটি ছুটছিল ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে। অথচ পিছনের সিটের কেউ সিটবেল্ট পরে ছিলেন না।
মার্সিডিজ জানিয়েছে, নিরাপত্তার আরও ব্যবস্থা ছিল ওই গাড়িতে। মার্সিডিজের ওয়েবসাইট থেকেই জানা যাচ্ছে, এই গাড়িতে মোট সাতটি এয়ারব্যাগ থাকে। তার পরও কীভাবে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বুধবারই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়ির সাঙ্কেতিক ‘ভেহিকল ডাটা’ সংগ্রহ করেছে বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি।
মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন রেঞ্জের আইজিপি সঞ্জয় মোহিত জানিয়েছেন, গাড়িটির টায়ার প্রেসার এবং ব্রেক ফ্লুইডের স্তর দুর্ঘটনার আগে কী অবস্থায় ছিল, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
রবিবার মহারাষ্ট্রের পালঘরের কাছে সূর্যনদীর উপর একটি সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাইরাসের গাড়ি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অত্যধিক গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। মৃত্যু হয় তার বন্ধু জহাঙ্গীর পান্ডোলেরও।
মঙ্গলবার সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের ওরলিতে শেষকৃত্য হয় সাইরাসের। বুধবার সাইরাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে মার্সিডিজ বেঞ্জ ইন্ডিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্ববান ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রাহকের গোপনীয়তা বজায় রেখেই আমরা তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।’
উল্লেখ্য, রবিবার যে গাড়িটিতে দুর্ঘটনায় সাইরাসের মৃত্যু হয়, তার বাজারদর ৬৮ লাখ রুপি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা