রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করে বলেছেন, ইউক্রেনের শস্যের অধিকাংশ যাচ্ছে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও পুতিনের দাবি সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযানের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণসাগরের বন্দর অবরোধ করে রাশিয়া। ফলে বিদেশে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
গেল জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরের বন্দর ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি নিয়ে একটি চুক্তি করে ইউক্রেন-রাশিয়া। বিশ্ব খাদ্য সংকটের কথা বিবেচনা করে রাশিয়া চুক্তিতে সম্মত হয়।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পুতিন অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর পরিবর্তে ইউক্রেনের শস্য ধনী দেশগুলোতে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি বলেন, যেসব দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেসব দেশে ইউক্রেনের শস্য যাওয়ায় অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কিন্তু ইউক্রেনের শস্য আসলে কোন দেশগুলোতে যাচ্ছে। আল জাজিরার খবর অনুসারে, ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি তদারক করার জন্য ইস্তামবুলে যৌথ পর্যবেক্ষণ সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থার ডাটা অনুসারে, ইউক্রেনের এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি শস্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে গেছে। বাকি ২০ শতাংশ তুরস্কে আছে। স্পেন এবং মিশরও ইউক্রেনের শস্যের বড় গ্রহীতা। যৌথ সমন্বয়ক সেলের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনে শস্যের ৩০ শতাংশ বিশ্বের নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে যাচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল