৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:৪৬

রাশিয়ার দখল করা একের পর এক এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার দখল করা একের পর এক এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

প্রতীকী ছবি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। যুদ্ধে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটির ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল ‘গণভোটের’ মাধ্যমে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নিয়েছে রাশিয়া।

তবে দীর্ঘ সাত মাস পর যুদ্ধে ক্রমশ সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। পুতিনের সৈন্যদলকে রুখে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে আরও অগ্রসর হয়ে একাধিক এলাকা পুনর্দখল করার দাবি করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর দেশের দক্ষিণ অংশে এই প্রথম এত বড় সাফল্য পেল ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ।

জানা গেছে, গত সোমবার দিনিপ্রো নদী বরাবর একাধিক গ্রাম পুনর্দখল করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। মস্কোর চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে কিয়েভ। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার দেশের সৈন্যদল বেশ কিছু শহর পুনর্দখল করেছে।

তবে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দেশের দক্ষিণ প্রান্তে দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম প্রান্তে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দুদচানি শহর পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার মস্কোর রেড স্কোয়ারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, ডোনেটস্ক, লুহানস্ক— এই চার এলাকার বাসিন্দারা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে। পুতিনের এই ঘোষণার পরই ডোনেটস্কের উত্তরে রাশিয়ার অন্যতম মূল ঘাঁটি লাইম্যান শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

নিজেদের ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের জন্য তিনি প্রস্তুত বলে সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরই ইউক্রেনের মাটিতে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা ছড়িয়েছে।

যদিও মস্কোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সূত্র: রয়টার্স, আল-আরাবিয়া

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর