সম্প্রতি তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ‘ওপেক প্লাস’। এতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর ওপর ভীষণ নাখোশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে রাশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রধান ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়। ওই ঘটনায় রিয়াদ ও আবু ধাবির বিরুদ্ধে আমেরিকা চরম ক্ষুব্ধ হওয়া সত্ত্বেও আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট রাশিয়া সফরে গেছেন।
সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান।
মঙ্গলবার সেন্ট পিটাসবার্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিন জায়েদকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বিশ্বের জ্বালানি বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় রাশিয়া।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া বিশেষ কোনও দেশকে লক্ষ্য করে কোনও ব্যবস্থা নেয় না বরং জ্বালানির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াই মস্কোর লক্ষ্য।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সাক্ষাতে মোহাম্মাদ বিন জায়েদ বলেন, তার দেশ সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক বিনিময়ের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে।
গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া, সে ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে। তবে মোহাম্মাদ বিন জায়েদের এ সফরের পর আর আবু ধাবির ভূমিকাকে নিরপেক্ষ বলার সুযোগ থাকল না। সূত্র: আল-জাজিরা, খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম