ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রুশ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছেন, খেরসন শহরের আশপাশের অবস্থা খুবই উত্তেজনাকর এবং সম্ভবত তাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
বুধবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন রুশ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। রসিয়া-২৪ সম্প্রচার মাধ্যমকে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ন্যাটো কমান্ড দীর্ঘদিন ধরে খেরসনকে লক্ষ্য করে কিয়েভ সরকারের কাছে হামলার দাবি জানিয়ে আসছে। এতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক জনগণের মধ্যে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলো তারা তা বিবেচনা করতে চায় না।
জেনারেল সুরোভিকিন বলেন, ইউক্রেন সরকার খেরসন এলাকায় নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি নিয়ে সজাগ রয়েছে। ইউক্রেন খেরসন অঞ্চলের কাখোভকা জলবিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে। এর পাশাপাশি তারা খেরসন শহরের ওপর ব্যাপক মাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং কামান ও মর্টারের গোলা বর্ষণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করলে খেরসন অঞ্চলের শিল্প স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং ব্যাপক মাত্রায় সামরিক ও বেসামরিক লোকজন নিহত হবে।
রুশ এ সেনানায়ক বলেন, চলমান সংঘাতে ইউক্রেন ব্যাপকভাবে রিজার্ভ সেনাদের ব্যবহার করছে যাদের যুদ্ধের বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা নেই। এ ধরনের সেনাদের নৈতিক মনোবলও খুব নিচু। তারা যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জেনারেল সুরোভিকিন ইউক্রেনের সরকারকে ক্রিমিনাল সরকার মন্তব্য করে বলেন, “তারা ইউক্রেনের জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা চাই ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক। যারা পাশ্চাত্য এবং ন্যাটো জোট প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে এবং রাশিয়ার প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হবে।
সূত্র: আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন