ব্রিটেনের ২০০ বছরের ইতিহাসে ভেঙে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪২ বছরের ঋষি সুনাক। তাকে নিয়ে এখন বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে চর্চা চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে ঋষি সুনকের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রথমে খুশি ছিলেন না নারায়ণমূর্তি। কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন ভারতীয় বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ইনফোসিসের’ প্রতিষ্ঠাতা।
তবে পরে ঋষির পরিশ্রমী মানসিকতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্বশুর নারায়ণমূর্তি। আজ তার সেই জামাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ঋষির সাফল্যে ‘গর্বিত’ নারায়ণমূর্তি।
জামাই ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। সেই বিষয়ে নারায়ণমূর্তি বলেন, “ঋষিকে অভিনন্দন। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত এবং তার সাফল্য কামনা করি। আমরা আত্মবিশ্বাসী তিনি ব্রিটেনের জনগণের জন্য তার যথাসাধ্য ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করবেন।”
২০০৬ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়তে গিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। সেখানেই ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং প্রেম।
জানা গেছে, মার্কিন মুলুকে একটি কফি শপে প্রথমবার দেখা হয়েছিল ঋষি এবং অক্ষতার। এরপরই দু’জনের বন্ধুত্ব হয়। পরে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। এর তিনবছর পর বিয়ে করেন তারা। দম্পতির দুই মেয়ে আছে – আনুশকা এবং কৃষ্ণা।
১৯৮০ সালের ১২ জুন ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেন ঋষি সুনাক। তার বাবা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের জেনারেল প্র্যাক্টিসনার ছিলেন। তার মায়ের নিজস্ব ওষুধের দোকান ছিল।
এদিকে ঋষি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তার বাবা-মা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাননি। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন তার বাবা যশবীর এবং মা ঊষা। ঋষির শিকড় অবশ্য পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায়। যা এখন পাকিস্তানের পাঞ্জবের অন্তর্গত। মূলত ১৯৩০-এর দশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তার পূর্বপুরুষ পূর্ব আফ্রিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম